রাজবাড়ীর পাংশায় ছিনতাই মামলায় ইকবাল শেখ (৪০) নামের ভুয়া সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে পাংশা মডেল থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২০মার্চ) বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের পাট্টা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার ইকবাল শেখ উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের তাইজেল শেখের ছেলে।
জানা গেছে, গ্রেপ্তার ইকবাল শেখ জিয়া সাইবার ফোর্স রাজবাড়ী জেলা শাখার সহ-কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক। তিনি নিজেকে 'মফস্বল বার্তা' নামে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের পাংশা উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয় দিতেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদি মো. মিজানুর রহমান ও তার সঙ্গীয় আব্দুল লতিফ জমি রেজিষ্ট্রি করার জন্য বাড়ি থেকে রওনা হয়। এ সময় পাংশা থানাধীন পাট্টা হাইস্কুলের সামনে পৌছাইলে আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র তাদের পথ রোধ করে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে তাদের দুই জনের ব্যাগ থেকে নগদ ৫ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় তারা চিৎকার করতে গেলে চাঁদাবাজদের হাতে থাকা লাঠি ও অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে আহত করে প্রকাশ্যে দুই রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে তারা পাংশা লিজা হেলথ কেয়ারে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন এবং ২০ মার্চ বৃহস্পতিবার পাংশা থানায় একটি মামলা করেন।মামলার বাদি মো. মিজানুর রহমান পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের উত্তর বিষে মাঝাইল গ্রামের মৃত হেকমত আলী বিশ্বাসের ছেলে। তার সঙ্গী আব্দুল লতিফ একই গ্রামের মৃত পরশ আলী মন্ডলের ছেলে।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, জেলার কালুখালী উপজেলার সাওরাইল ইউনিয়নের কুমরিরানী গ্রামের মৃত বাহেরের ছেলে মো. তাহের (৪৫), রফিক বিশ্বাসের ছেলে সোহান বিশ্বাস (২২) ও লিটন বিশ্বাসের ছেলে তরিকুল বিশ্বাস (২৪)।
পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, মামলার প্রধান আসামি ইকবাল শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের সময় তিনি নিজেকে মফস্বল বার্তা পত্রিকার সাংবাদিক ও পাংশা উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য পরিচয় দিতেন। কিন্তু আমরা খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারি মফস্বল বার্তা পত্রিকায় রাজবাড়ীতে কোন প্রতিনিধি নেই এবং তার পরিচয়পত্রটি ভুয়া। তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান চলমান রয়েছে।
মফস্মল বার্তার প্রধান সম্পাদক মীর আখতারুজ্জামান তারেক মুঠোফোনে বলেন, আমাদের মফস্বল বার্তা পত্রিকায় রাজবাড়ীতে কোন প্রতিনিধি নেই। তার পরিচয়পত্রটি আমি দেখেছি সেখানে আমাদের কোন স্বাক্ষর নেই। ওই পরিচয়পত্র নম্বরে আমাদের কোন পরিচয়পত্রই নেই এবং তার পরিচয়পত্রটি ভুয়া।
পাংশা উপজেলা প্রেক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিঠুন গোস্বামী বলেন, তিনি প্রেসক্লাবের সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। আমরা এখন পর্যন্ত তার আবেদনটি এখন পর্যন্ত অনুমোদন দেয়নি।
মন্তব্য