গাছ থেকে কাঁঠাল পেড়ে খাওয়ায় কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা!

  • অনলাইন
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন ২০২০ ০১:০৩:০০
  • কপি লিঙ্ক

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ‌টিলার গাছ থেকে কাঁঠাল পেড়ে খাওয়ায় সালমান আহমদ নামে ১৫ বছরের এক কিশোরকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেন ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তোরাব খাঁকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেন আসামি তোরাব খাঁ। 

এমন লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নের জগতপুর এলাকায়। নিহত সালমান ওই এলাকার সাহাদ মিয়ার ছেলে। ঘটনার এক সপ্তাহের মধ্যে বুধবার (২৪ জুন) আসামিকে গ্রেপ্তার ও হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুলাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় চক্রবর্তী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ জুন বেলা ১১টার দিকে সালমান আহমদ বাড়ির পাশে একটি টিলা থেকে জ্বালানি কাঠ আনতে যায়। এরপর সে আর বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেন এবং ওই দিন তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। পর দিন দুপুরের দিকে পার্শ্ববর্তী আবুল মিয়ার টিলায় সালমানের মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা ও তার পরিবার। খবর পেয়ে গহীন টিলা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। 

এ ঘটনায় সালমানের মা সালমা বেগম অজ্ঞাত আসামি দিয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। রহস্যাবৃত এ হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব নেন থানার ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় চক্রবর্তী। এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি পার্শ্ববর্তী সিংহনাদ গ্রামের মৃত সুজন খার ছেলে এবং ৬ সন্তানের জনক তোরাব খাঁকে আটক ও হত্যার মূল কারণ বের করেন তিনি।

কুলাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, ‘কিশোর সালমান ঘটনার দিন তোরাব খাঁর মালিকানাধীন টিলায় গিয়ে গাছ থেকে পাকা কাঁঠাল পেড়ে খায়। এ সময় তোরাব খাঁ বিষয়টি দেখতে পেয়ে সালমানকে লাঠি দিয়ে দৌঁড়ানি দেন। দৌঁড় খেয়ে অপর একটি টিলায় গিয়ে সে পড়ে যায়। তখন তোরাব হাতে থাকা লাঠি দিয়ে সালমানকে পেটাতে থাকেন। এতে তার নাক ও মাথায় আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায় সালমান। পরে টিলা থেকে নিচে সালমানের লাশ ফেলে দিয়ে সেখান থেকে সটকে পড়ে তোরাব।’

তিনি বলেন, ‘এ হত্যার কোনো ক্লু ছিল না। এমন রহস্যাবৃত মামলার তদন্ত করতে গিয়ে অনেক কৌশল অবলম্বন করতে হয়েছে। অবশেষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) সাদেক কাওছার দস্তগীর স্যার ও ওসি ইয়ারদৌস হাসান স্যারের দিক নির্দেশনায় হত্যার কারণ উদ্ঘাটন ও জড়িত ব্যক্তিকে আটক করতে সক্ষম হই। আটক তোরাবকে বুধবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এবং ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।

 

বাংলাদেশ জমিন/ সংবাদটি শেয়ার করুন

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

মন্তব্য