খিলগাঁওয়ে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ

  • অনলাইন
  • রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ১১:০২:০০
  • কপি লিঙ্ক

রাজধানীর খিলগাঁও মেরাদিয়া এলাকায় একটি বাসা থেকে মিতু আক্তার (১৭) নামের এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে মিতু।

রোববার ২৭ (ফেব্রুয়ারি) এই তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ।

শনিবার রাতে খিলগাঁও মেরাদিয়া জামতলা কবরস্থান রোডের একটি বাড়ির তৃতীয় তলা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ । পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায়।

নোয়াখালী চাটখিল উপজেলার পুরুষোত্তমপুর গ্রামের মনির হোসেন ও হোসনে আরা বেগম দম্পতির মেয়ে মিতু। স্বামী সিএনজি অটোরিকশা চালক সজিবের সঙ্গে থাকতেন তিনি।

খিলগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোসাম্মৎ সোনিয়া পারভীন জানান, জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে খবর পেয়ে শনিবার রাতে মেরাদিয়ার বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বাসায় লোহার এঙেলের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল এবং দরজাটি খোলা ছিল।

তিনি জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য ও ঝগড়ার কারণে রাতে রুমের দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দেয় মিতু। অনেকক্ষণ সময় পেরিয়ে গেলেও দরজা না খোলায় ড্রিল মেশিন দিয়ে দরজার ছিটকিনি কেটে তার রুমের ভেতর ঢুকে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় স্বামী। পরে থানায় খবর দেয়। তবে ময়নাতদন্তের পর তার মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। তার স্বামী সজিবকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।

এদিকে মিতুর চাচা আনোয়ার হোসেন জানান, মিতুর বাবা-মা থাকে খিলগাঁও সিপাহীবাগ এলাকায়। দুই বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের বিয়ে করে মিতু ও সজিব। এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে মিতুকে তার বাবা-মা গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান। ১০মাস আগে তাকে গ্রাম থেকে আবার ঢাকায় নিয়ে আসে সজিব। এরপর পরিবারের সঙ্গে কোন যোগাযোগ ছিল না মিতুর। রাতে তার মৃত্যুর খবর শুনতে পান তারা।

তিনি আরও অভিযোগ করে জানান, বিভিন্ন সময় সজীব মিতুকে নির্যাতন করতো। গতরাতে কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা বলতে পারেননি তিনি।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

মন্তব্য