ইউনিয়ন আনসার ও ভিডিপি কমান্ডারের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ : জনমনে তীব্র ক্ষোভ


ইউনিয়ন আনসার ও ভিডিপি কমান্ডার রেজাউল ইসলামর বিরুদ্ধে নিয়ম বহির্ভূতভাবে সরকারি পোশাক ব্যবহার করা, মিথ্যা মামলায় এলাকার মানুষকে হয়রানী করা, আনসার ভিডিপির কমান্ডার পরিচয়ে গ্রামের মানুষদের উপর প্রভাব বিস্তার, ভোট ও পূজার নিরাপত্তা পাহারার জন্য আনসার নিয়োগে ঘুষ বানিজ্য এবং নারী ঘটিত অভিযোগ সহ নানান অভিযোগ উঠেছে।

তার একের পর এক অপকর্মে এলাকার ২শতাধিক মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার, তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন। আবেদনকারীদের উক্ত অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, খেশরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রভাষক রাজিব হোসেন রাজু, সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য মো. বিল্লাল হোসেন, মনিরুজ্জামান মনি ও তহমিনা খাতুন সহ দায়িত্বশীল একাধিক ব্যক্তি সুপারিশ করেছেন।

উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামের মো. মফিজুল ইসলাম, গফুর সরদার, ছাত্তার গাজী, মোজাম্মেল হক, অজেদ শেখ ও সামাদ সরদার সহ একাধিক ব্যক্তি জানান, বালিয়া গ্রামের মোবারক মোল্যার ছেলে আনসার ও ভিডিপির খেশরা ইউনিয়ন কমান্ডার রেজাউল মোল্যা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় নানান অপকর্ম করে আসছে। সে তার পদকে অবৈধ ব্যবহার করে গ্রামের সাধারন মানুষদের মাঝে বিরোধ বাধিয়ে দিয়ে সুবিধা হাতিয়ে নিচ্ছে। এছাড়া আনসার ভিডিপির সরকারি খাকি পোশাক পরে এলাকায় চলাফেরা করে সাধারন মানুষদের উপর ভয়ের সৃষ্টি করে থাকে। মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দিয়ে মানুষকে হয়রানী করা সহ নির্বাচন এবং পূজার নিরাপত্তা পাহারায় লোক নিয়োগ করিয়ে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আনসার ও ভিডিপির একজন পদস্থ কর্মকর্তার সাথে তার ব্যপক সখ্যতা রয়েছে বলে জাহির করে সে বহাল তবিয়তে অনিয়ম ও অপকর্ম করে যাচ্ছে। নির্বাচন ও পূজার ডিউটির সুযোগ করে দেবার কথা বলে এলাকার আব্দুল মালেক, সরজিৎ দাশ, নিমাই, হাফেজা বেগম ও জাহানার বেগম সহ শতাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর তাদের ডিউটির সুযোগ দেয় বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।

এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, আনসার ও ভিডিপির কমান্ডার পরিচয়ে রেজাউল মোল্যা এলাকার দরিদ্র ও সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির নারীদের উপর র্দীঘদিন পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে। ইতোপূর্বে এলাকার এক মহিলাকে ধর্ষন করার চেষ্টা করলে ওই মহিলার চিৎকারে লোকজন এসে রেজাউলকে ধরে ফেলে। পরে সালিশ সভায় মুচলিকা দিয়ে লম্পট রেজাউল মোল্যার পিতা মোবারক মোল্যা তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আনসার ও ভিডিপিতে চাকরি দেবার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেয়া, গ্রামের লোকদের মাঝে বিরোধ বাধিয়ে দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়া, কৌশলে অন্যের ঘরে আগুন ধরিয়ে নিজ স্বার্থ উদ্ধারের চেষ্টা, জমি জোরদখল করা ও হুমকি দেয়া সহ নানান অভিযোগ করেছেন এলাকার মানুষ। নানান অপকর্মের কারনে রেজাউল মোল্যার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

তবে, জানতে চাইলে রেজাউল মোল্যা তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গ্রামের লোক আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং অপপ্রচার করছে। এবিষয়ে তালা উপজেলা আনসার ও ভিডিপি অফিসার তহমিনা খাতুন জানান, রেজাউল মোল্যার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। এবষিয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনামতে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তালা থানার ওসি মো. মেহেদী রাসেল জানান, আনসার ও ভিডিপির ইউনিয়ন কমান্ডারদের অফিসের বাইরে বা নির্ধারিত ডিউটির বাইরের সময়ে সরকারি খাকি পোশাক পরার বিধান নেই।


Copyright (c) 2019-2024 bzamin24.com