ফরিদপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের অভিযানে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ৪২

  • সালথা  (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ১০:০৪:০০
  • কপি লিঙ্ক

ফরিদপুরের সালথায় আধিপত্য বিস্তার ও তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পৃথক দু'টি সংঘর্ষের ঘটনায় যৌথ অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এসময় সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বরসহ ৪২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকালে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইমদাদ হুসাইন (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। 

এর আগে রবিবার (১৪ এপ্রিল) দিবাগত রাতে সালথা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল রবিবার (১৪ এপ্রিল) সালথার গট্টি ইউনিয়নের কাঁঠালবাড়িয়া গ্রামে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর, লুটতরাজের পর বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে রবিবার দিবাগত রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর সহ ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করে। 

অন্যদিকে, শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মাঝারদিয়া গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আ'লীগের দুই গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এতে এক বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ অন্তত ২৫ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে অন্তত ২০ জনকে ফরিদপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে একই রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ অপর ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেন।

এব্যাপারে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান বলেন, 'জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ও থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে রবিবার দিবাগত রাতে মোট ৪২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে সালথার গট্টি ইউনিয়নের কাঁঠালবাড়িয়ার ঘটনায় ৩০ জন ও মাঝারদিয়া গ্রামের ঘটনায় অপর ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

এ ব্যাপারে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইমদাদ হুসাইন (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) বলেন, 'সালথায় পৃথক দু'টি সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই দু'টি ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই দুই মামলায় জড়িত বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

মন্তব্য