ফাতেমা তাবাসসুম খানের (২১) অমতে সৌদি আরবে নিয়ে এক প্রবাসীর সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলেন তার অভিভাবকেরা। সেই সংসার তিনি করেননি। দেড় বছর পর দেশে এসে পছন্দের পাত্র ফজলে রাব্বীকে (২৬) বিয়ে করেছেন ফাতেমা। এরপর সংবাদ সম্মেলন করে এই বিয়ের ঘোষণা দিয়েছেন ফাতেমা। আজ মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী নগরীর আসাম কলোনি এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করেন ফাতেমা তাবাসসুম খান ও ফজলে রাব্বী। তাদের বাড়ী রাজশাহী নগরীর রামচন্দ্রপুর বউবাজার এলাকায়।
সংবাদ সম্মেলনে ফাতেমা তাবাসসুম খান বলেন, ‘আমি স্বেচ্ছায় বাড়ি থেকে এসে পছন্দের মানুষকে বিয়ে করেছি। ফজলে রাব্বীর সঙ্গে আমার চার বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু সৌদি আরবে নিয়ে আমার অমতে বিয়ে দেওয়া হয়। এখন আমি আমার পছন্দের মানুষকে বিয়ে করেছি। কিন্তু এখন শুনছি, আমার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অপহরণের মামলা করা হচ্ছে। আমি জানিয়ে দিচ্ছি, আমাকে কেউ অপহরণ করেনি।’
ফজলে রাব্বী অভিযোগ করে জানান, ফাতেমাকে বাড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন করা হতো। তাই তিনি এবং তাঁর কয়েকজন বন্ধু গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ফাতেমাকে বাড়ি থেকে এনেছেন। এরপর রাতেই তাঁরা বিয়ে করেছেন। ফজলে রাব্বী বলেন, ‘চার বছর ধরে আমাদের প্রেম। কিন্তু ফাতেমার মা-বাবা বিয়ে দিতে চাননি। মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করা হয়েছে। এতেও আমাদের প্রেমের সম্পর্ক নষ্ট করতে না পেরে ২০১৯ সালের দিকে ফাতেমাকে সৌদি আরবে নিয়ে জোর করে এক প্রবাসীর সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। ফাতেমা সেখানে সংসার করতে পারেনি। দেড় বছর পর ২০২১ সালে ফাতেমা দেশে ফিরে আসে। এরপর থেকে বাড়িতে তাঁর ওপর নির্যাতন চলছিল।’
নির্যাতনের বিষয়ে জানতে চাইলে ফাতেমার ভাই তামীম খান বলেন, ‘কখনোই নির্যাতন করা হয়নি। ফজলে রাব্বী ১০ থেকে ১৫ জন লোক নিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে ফাতেমাকে তুলে নিয়ে গেছে। এখন তাঁর বোনকে জিম্মি করে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।’
বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মন্তব্য