প্রতিমাসে নির্ধারণ হবে পেট্রোল-অকটেন ও ডিজেলের দাম: জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী

  • বাণিজ্য ডেস্ক
  • সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ ০২:১২:০০
  • কপি লিঙ্ক

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেছেন, আগামী বছরে আমরা ডায়নামিক প্রাইসের দিকে যাচ্ছি। প্রতি মাসে ইনডেক্সিংয়ের ওপর নির্ভর করে মূল্য নির্ধারণ করা হবে। প্রতি মাসে পেট্রোল, অকটেন ও ডিজেলের বিষয়ে আন্তর্জাতিক মান রক্ষা করে আন্তর্জাতিক বাজারে যেভাবে ডায়নামিক প্রাইসিং হয় সেভাবেই আগামী বছরের মাঝামাঝি থেকে শুরু হবে।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।

সিলেটে তেলের সন্ধান প্রসঙ্গে নসরুল হামিদ বিপু বলেন, দুই হাজার ৫৪০ এবং দুই হাজার ৪৬০ মিটার গভীরতায় একযোগে উৎপাদন করা হলে আট থেকে দশ বছর জায়গাটি টিকে যাবে। এর মূল্য দাঁড়াবে আট হাজার ৫০০ কোটি টাকা। যদি ২০ মিলিয়ন ঘটফুুট হারে উত্তোলন করা যায়, তাহলে ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে এটিকে সাসটেইন করানো যাবে।

তিনি বলেন, এর আগে ১৯৮৬ সালে হরিপুরে আমরা তেলের অস্তিত্ব পেয়েছিলাম। যা পাঁচবছর টিকেছিল। কিন্তু এর এপিআই গ্র্যাভিটি ছিল ২৭। এবার যে তেলের মজুত পাচ্ছি, যে পরীক্ষা করা হয়েছে, তা ২৯ দশমিক সাত। প্রথম দিনের দুই ঘণ্টায় ৭০ ব্যারেলের মতো তেল উঠেছে। এটিকে আমরা এখন বন্ধ রেখেছি। আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। তারপর এটির পুরো মজুত জানতে পারব।

তিনি আরও বলেন, আমরা আশাবাদী আগামী অন্তত ২০ বছর এখান থেকে অনেক সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে। আরও চার থেকে পাঁচ মাস পরে পুরো বিষয়টি বলা যাবে। তেলের অংশটি তিনটি জায়গায় পরীক্ষা করতে দিয়েছি। জায়গাগুলো হচ্ছে, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল) এবং সিলেট গ্যাস ক্ষেত্রে। সুখবর হলো গ্যাস ও তেলের স্তর ভিন্ন ভিন্ন। আগে আমাদের গ্যাসের সঙ্গে কিছু তেল আসতো। যেটাকে আমরা কনডেসার হিসেবে ব্যবহার করতাম। এখন তেল আলাদা হয়ে গেছে।

নসরুল হামিদ বিপু বলেন, আমরা যদি নিজেদের কিছু তেল নিজেরা উত্তোলন করতে পারি, যেভাবে আমরা ড্রিল করছি, প্রায় ৪৬টির মতো ড্রিল শুরু করেছি, পরবর্তীতে আরও ১০০ ড্রিল করার প্রস্তুতি চলছে। আমরা আশাবাদী আগামী দুই বছরের মাথায় ৫০০ থেকে ৬০০ এমএমসিএফ গ্যাস প্রতিদিন তুলতে পারব। আগামী ২০২৭ সালের দিকে আমরা গ্যাসে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারব বলে আশা করছি।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

মন্তব্য