টেকনাফের পোকাগুলো পঙ্গপাল নয়, ঘাস ফড়িং প্রজাতির

টেকনাফে গাছের পাতা খেকো যে প্রজাতির পোকার সন্ধান মিলেছে এটি এক প্রকারের ঘাস ফড়িং। সারা দেশেই রয়েছে এসব পোকা। কোনো ক্ষতিকারকও নয়। বাস্তবে পোকাটি পঙ্গপাল নয়।

শনিবার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) দুজন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সরেজমিন টেকনাফ গিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কক্সবাজারের কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ পরিচালক মো. আবুল কাসেম জানান, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদ্বয় টেকনাফের লম্বরিপাড়া নামক স্থানে সরেজমিন গিয়ে নিশ্চিত করেছেন এসব পোকা পঙ্গপাল নয়। বাস্তবে এগুলো ঘাস ফড়িং প্রজাতির এক প্রকারের পোকা। এসবের বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে-‘অলারসিস-বিলারিস।’

গাজিপুরের বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) কীটতত্ব বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. নির্মল কুমার দত্ত ও ড. এ কে এম জিয়াউর রহমান ঘাস ফড়িং প্রজাতির পোকা গাজীপুর থেকেই নিয়ে এসেছেন। বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদের নিয়ে আসা পোকার সাথে টেকনাফের পোকার হুবহু মিল রয়েছে। 

বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদ্বয় জানিয়েছেন, টেকনাফের এসব পোকাগুলো সারা দেশেই রয়েছে। ঘাস ফড়িং প্রজাতির এসব পোকা কোনো ক্ষতিকারক পোকা নয়। এসব পোকা বনজ গাছগাছালির পাতা খেয়ে থাকে। পোকাগুলোর শরীর অত্যন্ত নরম। এগুলোর পাখাও নেই, তাই উড়তে পারে না। টেকনাফের যে স্থানে পোকাগুলো বংশ বিস্তার করেছিল সেখানে কৃষি বিভাগ বিষ প্রয়োগ করায় বর্তমানে পোকাগুলোর বিচরণও নেই। আজ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা মাত্র একটি পোকা পেয়েছেন মাত্র।

 

বাংলাদেশ জমিন/ সংবাদটি শেয়ার করুন

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

মন্তব্য