করোনা উপসর্গ নিয়ে কৃষকের মৃত্যু: পরিবারের দাবি আঘাতে 

  • সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: 
  • রবিবার, ২৫ জুলাই ২০২১ ১২:৪১:০০
  • কপি লিঙ্ক

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের তুগুলদিয়া গ্রামের মুন্নু কারীকর (৫৫) নামের এক কৃষকের জ্বর ও শ্বাসকষ্টে মৃত্যুবরন করেছে।  পরিবারের দাবি সে আঘাতের কারনেই মারা গেছে। মুন্নু কারিকর ওই গ্রামের মৃত আয়নাল কারিকরের ছেলে। সে পেশায় একজন কৃষক ও নিজের বাড়িতে দোকানঘর তুলে মুদি মালামাল বিক্রি করতেন। 

স্থানীয়রা জানান, মুন্নু কারিকর জ্বর ও ঠান্ডা নিয়ে বেশকিছু দিন যাবৎ অসুস্থ্য ছিলেন। সে অসুস্থ্য হয়ে ঘরের বিছানায় শুয়ে থাকতেন আর ছেলেমেয়েরা দোকানের মালামাল বিক্রি করতো। গত দুই সপ্তাহ নাগাত জ্বর, কাঁশি, ঠান্ডা, মাথা ব্যাথা ও হাঁপানিতেও ভুগছিলো সে। বাড়িতে থেকে তুগোলদিয়া বাজারে পল্লী ডাক্তার দ্বারা চিকিৎসা চলছিলো তার।

গত শুক্রবার (২৩) জুলাই বিকালে জ্বর-হাঁপানি ও শ্বাসকষ্ট বেশি হলে রসুলপুর বাজারের পল্লীচিকিৎসক ললিন বিশ্বাসের কাছে নিয়ে যান। তাকে দেখিয়ে ঔষধ নিয়ে বাড়িতে আসলেই সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।

রসুলপুর বাজারের পল্লীচিকিৎসক ললিন বিশ্বাস বলেন, মুন্নু কারীকরকে যখন আমার কাছে নিয়ে আসে, তখন তার প্রচন্ড জ্বর ও শ্বাসকষ্ট ছিলো। এই জ্বর ও শ্বাসকষ্টের জন্য বেশ কিছুদিন তাদের ওখানকার পল্লীচিকিৎসকের কাছ থেকে আগেও ঔষধ খেয়েছেন। আমার কাছে আনার পর আমি তাকে করোনা পরীক্ষা করার জন্য পরামর্শ দেই। পরে জানতে পারলাম মুন্নু কারীকর মারা গেছে। 

মৃত্যু ব্যক্তির স্ত্রী আমেনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, কয়েকদিন আগে প্রতিবেশী কয়েকজনের মাইরের আঘাতে সে বিছানায় কাতরাাচ্ছিল।  টাকার অভাবে ভালো চিকিৎসা দিতে পারছিলাম না। তার উপর হামলার সময় তাকে বুকে লাথি মেরেছিলো সেই আঘাতের কারণেই সে মারা গেছে। তার কোন করোনা ছিলো না। 
আমেনা বেগম আরো  জানান, গত শুক্রবার ১৬ জুলাই তার স্বামীকে প্রতিবেশী জুয়েল মোল্লা ও তার ভাই মিন্টু মোল্লা পুকুরের ঘাটলা ভাঙ্গা নিয়ে প্রচুর মারধর করে। সেই থেকে সে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। ভালো চিকিৎসা দিতে পারি নাই তাই আজ সে চলে গেল। 

অপরদিকে অভিযুক্ত জুয়েল মোল্লা বলেন, ঘটনার দিন আমি ও আমার ভাই মিন্টু তাকে মারধর করি নাই। তার মেয়ের জামাই জসিমের সাথে হাতাহাতি হয়েছিলো মাত্র। এসময় জ্বর নিয়ে সে ঠেকাতে গেলে তার ধাক্কা লাগে। কিন্তু আমরা তাকে মারধর করি নাই। এতোদিন পর সে মারা গেল তার জন্য আমরা দায়ি হতে পারি না। আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। 

খবর পেয়ে সালথা থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। 

এ ব্যাপারে সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ  আসিকুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত্যু সঠিক কারণ নির্নয়ের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রীয়াধীন রয়েছে। 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

মন্তব্য