গাইবান্ধায় ক্লিনিকের বিল দিতে না পাড়ায় নবজাতক বিক্রি

  • গাইবান্ধা প্রতিনিধি :
  • শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১২:২১:০০
  • কপি লিঙ্ক

দিন মজুর শাহজাহান বেসরকারি হাসপাতালের বিল না দিতে পাড়ায়  নবজাতক বিক্রি করতে বাধ‌্য হয়েছেন বলে দাবি করেছেন শিশুটির বাবা। তিনি জানান, সেই টাকা দিয়ে বিল পরিশোধ করে ক্লিনিক থেকে স্ত্রী আমেনা বেগমকে বাড়ি নিয়ে গেছেন। 
শাজাহান মিয়ার বাড়ি গাইবান্ধার সদর উপজেলার রুপার বাজার ইউনিয়নের শোলাগাড়ী গ্রামে। শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্তান বিক্রির কথা স্বীকার করলেও কার কাছে বিক্রি করেছেন তা প্রকাশ বলতে রাজি হননি তিনি। 

শাজাহান মিয়ার দিন আনা দিন খাওয়ার সংসার। স্ত্রী আমেনা বেগম অন্তঃসত্ত্বা হলে তাকে সরকারি মাতৃসদনে নিয়ে যান। শাজাহান মিয়া বলেন, ‘সেখান থেকে তাকে জানানো হয়, গর্ভের সন্তান উল্টো অবস্থানে রয়েছে। এ জন্য সিজারিয়ান অপারেশন করতে হবে। কিন্তু এর জন্য টাকা আমার কাছে ছিল না।’  

প্রসববেদনা শুরু হলে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক জাকির হোসেনের পরামর্শে শাজাহান মিয়া ১৩ সেপ্টেম্বর স্ত্রীকে গাইবান্ধা শহরের যমুনা ক্লিনিকে নিয়ে আসেন। সেখানে তার সিজারিয়ান অপারেশন করা হয় এবং ছেলে নবজাতকের জন্ম হয়। 

গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ক্লিনিকে অবস্থান করার পর রোগীর অবস্থার উন্নতি হলে ১৭ সেপ্টেম্বর তার রিলিজ অর্ডার করা হয়। বিল করা হয় ১৬ হাজার টাকা। 

শাজাহান মিয়া জানান, এক ব্যক্তির সহযোগিতায় শিশুটি সাদুল্লাপুর উপজেলার এক ব্যক্তির কাছে নগদ ১৬ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। এরপর সেই টাকা দিয়ে ক্লিনিকের বিল পরিশোধ করেছেন। পরে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি। 

যমুনা ক্লিনিকের মালিক ফরিদুল হক সোহেল বলেন, ‘রিলিজের সময় ক্লিনিকে জমা দিয়েছেন ৯ হাজার টাকা। নবজাতক বিক্রির ঘটনা ক্লিনিক ক্যাম্পাসে হয়নি। যদি হয়ে থাকে তাহলে বাইরে হয়েছে।’  

পল্লী চিকিৎসক জাকির হোসেন বলেন, শাজাহান মিয়া অভাবের তাড়নায় কিছু টাকার বিনিময়ে নবজাতকটি তার দূর-সম্পর্কের আত্মীয়ের হাতে তুলে দিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

মন্তব্য