নদী ভাঙ্গনে দিশেহারা চরের গ্রামবাসী: পাশে দাঁড়িয়েছে আল ইকরাম ফাউন্ডেশন 

  • অনলাইন
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন ২০২০ ১১:১৫:০০
  • কপি লিঙ্ক

যমুনানদীর পানি হঠাৎ বৃদ্ধিতে বেলকুচি উপজেলার চর রান্ধুনী বাড়িতে বেড়েছে নদী ভাঙ্গন। সম্প্রতি নদীতে বিলীন হয়েছে প্রায় পঞ্চাশ বিঘা বসত ভিটা ও জমি।

সরেজমিনে দেখা যায় সিরাজগঞ্জ বেলকুচি উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের তাঁতশিল্প সমৃদ্ধ ঐতিহ্যবাহি গ্রাম হলো রান্ধুনী বাড়ি । অত্র অঞ্চলে সকলের নিকট রান্ধুনী বাড়ি গ্রামটি শাড়ি - লুঙ্গির জন্য বিশেষ ভাবে পরিচিত। 

বাংলাদেশের সবচেয়ে ভাঙ্গন প্রবন নদী হলো যমুনা নদী। সেই যমুনার করালগ্রাসে এক সময় রান্ধুনী বাড়ি এক তৃতীয়াংশ নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। থেমে যায় তাঁতের খটখটানি ও তাঁত শ্রমিকদের হাঁকডাক। যমুনার বুকে জেগে ওঠে নতুন চর মানুষ নতুন করে বাচার সপ্ন দেখে। 

বিগত কয়েক বছরে নদীর পূর্ব পারে চর পরার কারণে নদীর ভাঙ্গনের শিকার ভূমিহীন মানুষগুলো

যমুনার বুক চিরে জেগে ওঠে চর। মানুষ নতুন করে চরে বসতি স্থাপন করে। বাপ দাদার ভিটায় বসবাসের সুযোগ পেয়ে সবার মাঝে যে প্রশান্তি বিরাজ করে কিন্তু সম্প্রতি  আবার গত কয়েকদিনে নদীর পূর্ব পারে ভাঙ্গন দেখার কারণে বিষাদে রূপান্তরিত হয়েছে চচরাঞ্চলের গ্রামবাসীর মাঝে। ইতিমধ্যে  কয়েকজনর বাড়ি সম্পূর্ণ ভাবে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। 

যারা নদী ভাঙ্গনের গতি প্রকৃতি সম্পর্কে অবগত, তারা ভালো ভাবে জানেন যে, যখন ভাঙ্গন শুরু হয় তখন মুহূর্তের মধ্যে একেকটা বাড়ি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। 

নদীভাংগন এলাকায় মানুষের পাশে দাড়ায় সেচ্ছাসেবী সংগঠন  "আল ইকরাম ফাউন্ডেশন।  সেচ্ছাশ্রমে চার পাঁচ দিন আগে যখন ভাঙ্গন শুরু হলো রাজাপুর ইউনিয়নের আলেম উলামা ও কওমী মাদ্রাসার ছাত্রদের নিয়ে গঠিত সামাজিক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান, "আল ইকরাম ফাউন্ডেশন " এর পূর্ব রান্ধুনী বাড়ি গ্রামের একঝাঁক প্রানবন্ত তরুণ কর্মীরা স্বেচ্ছাশ্রমে দুই দিন যাবত ভাঙ্গন কবলিত ঘরগুলো স্থানান্তরিত করে দেয়। 

ইতিপূর্বে চর বাসিদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য যমুনা নদীতে বাসের সাঁকো ও নদীর মাঝে মানুষ চলাচলের বিভিন্ন পয়েন্টে বস্তা ফেলাসহ দূর্যোগকালিন সময় এবং দুই ঈদে নগদ অর্থ ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে অসহায় মানুষের পাশে থেকে আর্ত মানবতার সেবায় আল ইকরাম ফাউন্ডেশন সদাসর্বদা সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।  

এলাকাবাসীর দাবি অত্র অঞ্চলে  সরকারের পক্ষ থেকে নদীতে একটি ব্রীজ এবং নদীর পশ্চিম পারের মত যদি পূর্ব পারটাও পার বেধে দেয়া ও বস্তা ফেলাসহ আরসিসি ব্লক দিয়ে তীরটা বাধা যায়, তাহলে এই ভাঙ্গন থেকে চর বাসি হেফাজত থাকবে।

 

বাংলাদেশ জমিন/ সংবাদটি শেয়ার করুন

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

মন্তব্য